১৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৮ –দিনটি ছিলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস! ভালোবাসার কোনো নির্দিষ্ট দিন নেই, ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডিও নেই। তবুও, এই দিনটিতে ভালোবাসাকে আরও একটু বিশেষভাবে উদযাপন করতে চায় সবাই। সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই টিম বিবিডিসি আয়োজন করেছিল এক ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবসের অনুষ্ঠান।ভালোবাসা শুধুমাত্র প্রিয়জনের জন্যই নয়, ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হয় শিশুদের মাঝেও, যারা হয়তো এই পৃথিবীর রঙিন আলোটুকু এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি। তাই বরিশাল নগরীর আনাচে কানাচে পড়ে থাকা ক্ষুদে ফেরেশতাদের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছিল বিবিডিসি টিম।
এই আয়োজনকে স্মরণীয় করে তুলতে টিম বিবিডিসির স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকদিন আগে থেকেই পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছিল। শিশুরা যাতে ভালোবাসা দিবসটি আনন্দে কাটাতে পারে, সে জন্যই নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু উদ্যোগ –শিশুদের জন্য চকলেট, খেলনা ও ছোট উপহারসামগ্রী সংগ্রহ বিবিডিসির অফিসটি বেলুন, পোস্টার ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো, শিশুদের জন্য বিশেষ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও খেলার আয়োজন,সবার জন্য ভালোবাসার শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করা হয়েছিলো।
বিশেষ দিনটির সকাল থেকেই টিম বিবিডিসির অফিসটিতে শুরু হয় এক অন্যরকম উৎসব। স্বেচ্ছাসেবকরা লাল-সাদা পোশাক পরে, হাতে বেলুন আর চকলেট নিয়ে হাজির হয় তাদের অফিসে। ছোট্ট শিশুরা, যারা দিনের পর দিন অবহেলিত হয়ে নগরীর রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এই আয়োজনের জুড়ি ছিলো না।
টিম বিবিডিসির সদস্যরা একে একে প্রতিটি শিশুর পাশে গিয়ে তাদের হাতে ছোট্ট উপহার তুলে দেয়। কেউ পেলো চকোলেট, কেউ পেলো খেলনা, আবার কেউ হাতে পেলো রঙিন গল্পের বই। উপহার পেয়ে শিশুরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলো। বিবিডিসি টিমের সদস্যরা শুধু উপহার দিয়েই থেমে থাকেনি। তারা শিশুদের পাশে বসে গল্প করেছে, হাসিয়েছে, খেলেছে। অনেক স্বেচ্ছাসেবক শিশুদের জন্য ছোট ছোট শুভেচ্ছা কার্ড লিখে দিয়েছিল।
এই আয়োজন শেষে টিম বিবিডিসির প্রতিটি সদস্যই যেন নতুন করে উপলব্ধি করেছিলো ভালোবাসার প্রকৃত রূপ। ভালোবাসা মানে শুধু প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া নয়, বরং এমন কিছু করা যাতে অন্যের মুখে হাসি ফোটে। শিশুদের উচ্ছ্বাস দেখে বিবিডিসির স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিজ্ঞা করেছিলো, ভালোবাসা দিবস শুধু এক দিনের জন্য নয়, তারা সারা বছরই ভালোবাসা ছড়িয়ে যাবে মানুষের মাঝে!
পথশিশুদের সাথে কাটানো এই ভালোবাসা দিবস কেবল একটি দিনের আয়োজন নয়, এটি ছিল হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত ভালোবাসার প্রকাশ। শিশুরা এই দিনে যেমন আনন্দ পেয়েছে, তেমনি স্বেচ্ছাসেবকরাও শিখেছে ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ।